অন্ধকার আকাশের মতোই পৃথিবীটা আজ অন্ধকার। অন্ধকারে নিমজ্জিত সহস্র কোটি আশা,আকাঙ্খা আর স্বপ্ন। কদিন আগেও নীল আকাশের বুকে যে চাঁদটা আলো দিতো আজ সেটিও মেঘের আড়ালে। সন্ধ্যার সন্ধ্যাতারা তার রূপকে উগড়ে দিচ্ছে না। শুকতারাও তার সুখকে আটকে রেখেছে নিজের মধ্যে।
হায় রে মানুষ। বোঝো আজ তুমি কতটা অসহায়। না পারছো রৌদ্রস্নাত দুপুরের গরমটাকে আলিঙ্গন করতে, না পারছো চাঁদের মা বুড়ির খেলা দেখতে।হয়তো দেখছো লোহার তৈরি আটসাট জেলখানায় বন্দি থেকে।
আর কতদিন? ধনীর দুলাল – দুলালী গুলো তো ঘরে বসেই ধরিত্রী দেখছে। কিন্তু রাস্তার অভুক্ত রহমত আলী আর করিমন বিবি যখন খাদ্যের জন্য নিচ থেকে হৃদয়বিদারী চিৎকার দেয়, দশতলা ওপর থেকে তোমার সেটাকে তামাশা মনে হতে পারে, হয়তোবা হয় না। ক্ষুধার জ্বালা কি জিনিস তা যদি বুঝতে তাহলে ময়লার ড্রেনে প্রতিদিন খাবারে স্তুপ ফেলতে না। একটু বোঝার চেষ্টা করতে।
জেলখানায় বন্দির আগের দিনগুলোতে দেখেছি রাস্তায় রাস্তায় হাজারো রহমত আলী আর করিমন বিবি কে।দেখে তখন হয়তো কষ্ট হয়, কিছুক্ষণ পরই হয়তোবা ভুলে যায়। ওদের সুখটাকে কল্পনা করো, দেখবে,সুখ তোমার মধ্যে নেই,আছে ওই ইটের নিচে মাথা দিয়ে টানা ঘুমের মধ্যে।
পৃথিবী টা সবার, তাই বাঁচার অধিকার টাও সকলের।একসাথে থাকবো, একসাথে বাঁঁচবো। শেষে কবিতার কয়েকটি চরণ দিয়ে শেষ করতে চাই,
আপনার লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী পরে
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যকে মোরা পরের তরে।
– শোভন আদনান
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।