২০২০ শুরুটা কি সুন্দরই না হয়েছিল।মানুষ প্রাণভরে নিশ্বাস নিত,চারিদিকে ঘুরতো,আনন্দ করতো। বেরিয়ে পড়ত অজানা গন্তব্যের সন্ধানে। কে জানত আগামীর দিনগুলো হতে চলেছে কতটা ভয়ঙ্কর। ধরিত্রীর রুদ্ররুপ দেখতে এ শতকের মানুষ কখনোই এতটা প্রস্তুত ছিল না।মাইক্রোমিটার অথবা তার চেয়েও ক্ষুদ্র একটি জীব যে এক আঙুলের ইশারায় চারিদিকে তান্ডব চালাবে তা কে ভেবেছিল।
আজকের এই ঘরবন্দী দিনগুলোর সময়টা তাই তখনকার দিনগুলোর কথা টেনে আনছে। মস্তিষ্কের নিউরনগুলো একে অন্যকে ধাক্কাচ্ছে আর বলছে কেন তুমি নির্বাক হয়ে বসে ছিলে তখন।তোমার একটি উক্তি হয়ত পৌঁছাতো না সর্বোচ্চ পর্যায়ে কিন্ত নিজেকে তো শান্তনা দিতে পারতে। বলতে পারতে আমি চেয়েছিলাম এটা প্রতিরোধ করতে।
মানবতা, আজ তুমি সত্যিই ধরাশায়ী। প্রকৃতি তোমাকে আর ছাড় দিচ্ছে না। শুধু আনবিক বোমা, মিসাইল আর সামরিক শক্তিই যে সব নয় তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছো।
করোনাভাইরাস নামক এই শব্দটা আজ ভয় ধরিয়ে দিয়েছে,আতঙ্ক এনে দিয়েছে। সবথেকে শক্তিধর রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজ আক্রান্তে আর লাশের স্তুুপে পরিপূর্ণ। করোনাভাইরাস তার বাহিনী নিয়ে প্রাচ্য আর পাশ্চাত্য কে একাকার করে দিয়েছে ইউরোপ যদিও বলছে তারা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে সত্যি কি তারা পারছে? ইতালি,স্পেন,ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য, ইরান,ভারত আর বাংলাদেশ একে অন্যের সাথে পাল্লা দিচ্ছে আক্রান্তে।
সময়টা এখনই মানবতাকে একসাথে কাছাকাছি আনার। কাজটা কে করবে, কেউ এর ধার ধারছে না। কিছু মানুষ হয়তো কাজটা করছে।
আমাদের বাংলাদেশের গুটিকয়েক লোক দিন এনে দিন খাওয়া লোকদের কিছুটা যোগান দিচ্ছে খাদ্যের। সরকার চেষ্টা করছে সমস্যা কাটানোর। কিন্তু কাজে একে অন্যের মধ্যে নেই কোনো সমন্বয়। বাংলাদেশ তাই আজ আক্রান্তের চূড়ায় উঠতে চেষ্টা করছে। কেউ বলতে না চাইলেও মনে মনে বলছে, আমরা বাচতে চাই।
প্রকৃতি তার রুদ্ররুপ থেকে রুপসী রুপে ফিরবে। তবে ভুলে যেও না মানুষ তুমি সত্যি আজও অজ্ঞ। মানবতা
তোমার মধ্যে এখনও আসনি।
এ জন্যেই তো লালন বলেছিল,” মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি”।
-শোভন আদনান
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।