Veronica decides to die
পাওলো কোলহোর বইটি মানব মনের রহস্য নিয়ে আলোচনা করে
ভেরোনিকা নামক স্লোভেনিয়ার এক তরুণী আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। না, সে হতাশ নয়, ক্লান্ত। জীবনের প্রতি উদাসীন। সে নিজেকে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক মনে করে এবং আত্মহত্যার পেছনে তার দুটো কারণ আছে।
এক; তার জীবন একঘেয়ে। তার প্রতিটি দিন একই রকম।বেঁচে থেকে তার কিছুই অর্জিত হবে না বরং বার্ধক্যতা এবং রোগ বালাই এর সাথে কষ্ট বাড়বে। বন্ধুরা ধীরে ধীরে দূরে সরে যাবে।
দ্বিতীয় কারণটা অনেকটা দার্শনিক।
ভেরোনিকা নিয়মিত সংবাদপত্র পড়ে এবং টেলিভিশন দেখে। তার চারপাশে, পৃথিবীতে কি চলছে সে সম্পর্কে সে সম্পূর্ণ অবগত। এবং পৃথিবীতে এত কিছু ভুল যে তা ঠিক করার তার কোনো উপায় নেই। যা তাকে এক ধরনের ক্ষমতাহীন অনুভব করায়।
ঘুমের ঔষধ খেয়েও ভেরোনিকা যখন চোখ খোলে তখন সে নিজেকে আবিষ্কার করে ‘ভিলেট’ এ, স্লোভেনিয়ার বিখ্যাত মানসিক হাসপাতাল বা ‘ পাগলা গারদ ‘ এ।
সেখান থেকে সে জানতে পারে অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ তার হৃৎপিন্ডে অনিরাময়যোগ্য ক্ষতি করে, যার কারণে তার হৃৎপিণ্ড ৫ দিন বা সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ কাজ করবে।
এই এক সপ্তাহ ভেরোনিকা এবং ‘ভিলেট’ এর অন্যান্য চরিত্র, যারা সমাজে পাগল বলে অভিহিত তাদের কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে কাহিনী।
অন্যদিকে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ড. ইগোর এক গোপন ও জটিল গবেষণায় লিপ্ত। সে এক অদ্ভুত রোগের চিকিৎসা আবিষ্কারের চেষ্টায় মগ্ন, তিক্ততা।যার কারণ সে দিয়েছে ভিট্রল। জীবনের তিক্ততা, অতি প্রাচীন রোগ, যার কোনো নিশ্চিত নিরাময় আবিষ্কৃত হয় নি তাই আবিষ্কারে ব্যস্ত ড. ইগোর।
কি এই ভিট্রল? ভেরোনিকা কি পাবে তার কাঙ্ক্ষিত মৃত্যু? ড. ইগোরই বা কি সফল হবে তার লক্ষ্যে?
-সমালোচক
তাহসীন
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।