অদৃশ্য এক ভাইরাস কোভিড-১৯ এর কবলে পড়ে পুরো বিশ্ব থমকে গেছে। যার কাছে হার মেনেছে অর্থ, বিও, ক্ষমতা। পৃথিবী জুড়ে এখন একটি আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস।বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় এটি। এই মহামারি করোনা ভাইরাস আমাদের সমাজে একধরনের ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যা জনজীবনে এক আতঙ্ক ও অস্বস্তিতে প্রতীয়মান হচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়েছে নেতিবাচক।
করোনা ভাইরাস নিয়ে চলছে নানা ধরনের মতামত। কেউ ভাইরাসটিকে দেখছেন গুরুত্ব সহকারে, কেউ দেখছেন অবহেলায়। দেশজুড়ে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে হ্যান্ডস্যানিটাইজারসহ বিভিন্ন ধরনের জীবাণুনাশক পন্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুরো দেশে এক অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আতঙ্কের সাথে সাথে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি জনজীবনকে বেসামাল করে ফেলেছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মাস্কসহ প্রয়োজনীয় দ্রব্য চড়াদামে বিক্রি করছে।
সমাজে প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাস নিয়ে ছড়াচ্ছে গুজব। সমাজের কিছু নিরক্ষর মানুষ গুজব ছড়াচ্ছে পীরের পানি পড়া খেলেই নাকি মিলবে কারেনার মুক্তি। কিছু মানুষ বলছে দেশে নাকি অনেক গরম তাই করোনা ছড়াবে না। এই ধরনের গুজব আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। আমাদের উচিৎ গুজবে কান না দিয়ে সচেতন হওয়া।
প্রায় দুই মাসের কাছাকাছি সময় লকডাউন থাকার পর সরকার অর্থনীতির কথা ভেবে সবকিছু খোলার নির্দেশ দিয়েছে। এই সময়টাকে সাধারণ মানুষ অবহেলায় কাটাচ্ছে। নেই কোন ধরনের সচেতনতা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বরাবরই তাদের সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছেনা সাধারণ মানুষের চলাফেরায়। মাস্ক ছাড়াই বেরিয়ে পড়ছে রাস্তায়। এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে মানুষ থেকে মানুষে। এই ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার কারণ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা। জ্বর, সর্দি, কাশি এর লক্ষণ দেখা দিলেই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিৎ। এই ধরনের পরিস্থিতিতে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। করোনা নিশ্চিত /পজিটিভ জানার পর অনেকে আত্মগোপন করছে আবার কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে, তারা সামাজিকভাবে অবহেলার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই ক্ষেত্রে তাদেরকে হতে হবে সচেতন। কেননা স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেকে সুস্থ হচ্ছেন। তাই হতাশ না হয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায়, সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভাইরাস সংক্রামন থেকে নিজেকে মুক্ত করি এবং অন্যকে মুক্ত রাখি।সুতরাং “অন্ধবিশ্বাস নয় বরং সচেতনতাই মুক্তি” এটাই হোক করোনা মোকাবেলার প্রতিপ্রাদ্য বিষয়।