ফ্রান্সে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে সমাবেশের পর একটি বিশাল মিছিল নিয়ে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে গুলশানের দিকে রওনা হন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা। দুপুর ১২টা নাগাদ মিছিলটি পল্টন মোড়, বিজয়নগর হয়ে শান্তিনগর মোড়ে পৌঁছলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয়। এ সময় নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে চরমোনাই পীর সবাইকে শান্ত করেন। পরে নেতারা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তাদের কর্মসূচি সেখানে সমাপ্ত ঘোষণা করেন। এ সময় কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে নানা রকম স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এর আগে সকাল ১০টায় ঘেরাওপূর্ব জমায়েত হওয়ার কথা থাকলেও এর অনেক আগেই বায়তুল মোকাররম এলাকায় নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়। এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ফ্রান্স সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে পুলিশ পাহারায় মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে মুসলিম উম্মাহর কলিজায় আঘাত করেছে। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ম্যাক্রো ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে মুসলিমবিদ্বেষী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। অবিলম্বে ব্যঙ্গচিত্র প্রত্যাহার করে মুসলমানদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। অন্যথায় বিশ্বমুসলিম নেতৃবৃন্দের ঘোষণা ফ্রান্সকে বয়কট এবং ফ্রান্সের পণ্য বর্জন কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন তিনি।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী অশান্তি দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নিয়ে তা প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষায় জাতিসংঘ ব্যর্থ হয়েছে। তিনি জাতিসংঘ এবং ওআইসিকে ফ্র্যান্সের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশ সরকারকে সংসদে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব জ্ঞাপনের জন্য দাবি জানান। মুসলমানদের পক্ষে অবস্থান নিতে ব্যর্থ হলে দেশবাসী সরকার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমাদ আবদুল কাইয়ূম ও সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন সাকীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ, কে এম আতিকুর রহমান, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ প্রমুখ।