জলবায়ুর পরিবর্তন এবং এর প্রভাব মোকাবেলা করে কৃষিজ পণ্য উৎপাদনের উন্নয়ন ঘটাতে ৫০ কোটি ডলার অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারী, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বৈঠকে বিশ্ব ব্যাংকের গ্লোবাল পরিচালক (কৃষি ও খাদ্য) মার্টিন ভ্যান নিউকোপ এই প্রতিশ্রুতি দেন।
বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রজেক্ট (এনএনটিপি) ছিলো। বাংলাদেশে সরকার অনুরোধ করেছিল যেন এই প্রকল্প শেষ হলে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকে।
সেই অনুরোধে ৫০ কোটি ডলারের এই যৌথ প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, “মূল বিষয় হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তেনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উৎপাদন বাড়াতে হবে। মানুষ বাড়ছে, সে অনুযায়ী উৎপাদন না বাড়াতে পারলে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে।”
তিনি আরো বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করে বলেন “আমাদের উন্নয়নের অন্যতম সহযোগী বিশ্ব ব্যাংক বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে তাদের ভূমিকা রেখে চলছে। প্রায় সব মন্ত্রণালয়ে বিশ্ব ব্যাংকের কর্মসূচি রয়েছে।”
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্ব ব্যাংক ও বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ দল মিলে প্রতি সপ্তাহে বৈঠক করবে। সেই বৈঠকে প্রকল্পের কর্ম পরিসীমা নির্ধারণ করা হবে। যত দ্রুত প্রকল্প চূড়ান্ত করা হবে, তত দ্রুত অর্থ ছাড় করবে বিশ্ব ব্যাংক।
নতুন অর্থায়ন থেকে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি বেসরকারি খাদ্য প্রক্রিয়াজাত কোম্পানিগুলোকে ঋণ দেওয়া হবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।
বেসরকারি বড় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি কৃষিখাতে গ্রামের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা থাকবে কিনা প্রশ্ন করা হলে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি নিউকোপ বলেন, “আমরা সাপ্লাই চেইনে গ্রামের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বড় কোম্পানিগুলোর সংযোগ ঘটানোর কাজটি করব। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আক্রান্ত এলাকায় সহযোগিতা থাকবে। উচ্চ মূল্যের কৃষিপণ্য উৎপাদনেও দেওয়া হবে প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য কারিগরি সহযোগিতা।”