আমি সেই মেয়ে যে কখনো গল্পের বই পড়ে নাই,গুল্প লেখে নাই। বলতে গেলে “Good Book” এ(যারা বই পড়ে তাদের লিস্ট এ) এই আসি না।কেনো জানি গল্প লেখার ইচ্ছা শুরু হলো কিন্তু গল্পটা আমার না,আমার নানির।
আমার নানি বয়স ১০০+ এখনো আমাদের সাথে আছেন কিন্তু অনেক দুর্বল হয়ে পরেছেন। সেই আগের মত শক্তি নেই। নানু মধ্য বয়সে মারা যান, আমার জন্মের আগে তাই উনাকে আমি কখনো দেখি নাই। কিন্তু এই সাহসী নারী(নানি) কে দেখার সুযোগ হয়েছে। তা ও বেশি কিছু মনে নাই যা মনে আছে তাই লিখছি আর কিছু বড় বোনদের থেকে জানা তারা নানির সাথে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছে। নানি আমাদের বাড়ির প্রধান, যতদিন সুস্থ ছিলেন বাড়ির দাইভার উনার কাঁধে ছিলো। ছোটবেলাই দেখতাম নানি বাজার করতে যেতেন,আমাদের জন্য কিছু না কিছু আনতেন বেশিরভাগ বুট(চাঁটগায়া ভাষায় চনার বুট বলে)।আমাদের অনেক পছন্দ ছিল। নানি বাজার থেকে আসলেই বাজার থলে টা খুলে দেখতাম, মাঝেমধ্যে আনতেন না তাই খারাপ লাগতো কিন্তু বেশিরভাগ সময় আনতেন। তা খাওয়ার জন্য সব নাতি নাত্নি রা সবাই জড় হত,অনেক মজা হত। আমরা নানির নাতনি সেই হিসেবে আমরা থার্ড জেনারেশন এখন আমাদের বাড়িতে ফোর্থ জেনারেশন পর্যন্ত আসছে। বাড়ির সব বাচ্চারা নানির কোলে উঠে বড় হয়েছে, এমন কি বাড়ির সব চেয়ে ছোট সদস্য সে ও নানির কোলে উঠেছে।
আগে নানি আমাদের সবার খেয়াল রাখতেন কিন্তু আজকে নানির খিয়াল রাখতে হচ্ছে।জীবন টা আসলে অদ্ভুত শুরু যেমন হয়েছিল শেষ টাও ঠিক তেমন হয়।
-মাছেন হ্লা
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।