খালাস হওয়ার পূর্বেই চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দ ৪২ হাজার কেজি পপি বীজ।
আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী, পপি বীজ আমদানি নিষিদ্ধ। পপিগাছ থেকে আফিমসহ বিভিন্ন মাদক তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশসহ অনেক দেশেই তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে দেশে রান্নায় মসলা হিসেবে পোস্তদানা নামে পপি বীজ ব্যবহার হয়। কিন্তু তা সেদ্ধ হিসেবে ব্যবহার হয়।
কাস্টমসের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম বলেন, চালানটি জব্দ করার পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পপি বীজ হিসেবে শনাক্ত করে তারা প্রতিবেদন দেওয়ার পর চালানটি জব্দ করা হয়েছে। আমদানি নিষিদ্ধ হিসেবেই এটি জব্দ করা হয়েছে।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, মালয়েশিয়া থেকে দুই কনটেইনার সরিষা ঘোষণা দিয়ে এটি আমদানি করে পুরান ঢাকার আজমিন ট্রেড সেন্টার। গত ১৮ এপ্রিল শুল্কায়ন করা হয়। আমদানিকারক ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা শুল্ককর পরিশোধ করেন। এমন সময়ে গোপন সংবাদ পেয়ে চালানটির খালাস স্থগিত করে পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় কাস্টমস।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, চালানটি আমদানিতে ঋণপত্রের মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৬ হাজার ৩০০ ডলার পাঠানো হয়। তবে জব্দ হওয়া পপি বীজের মূল্যই ১৫ কোটি টাকা বা সাড়ে ১৭ লাখ ডলার।
বাড়তি আমদানি ব্যয় অবৈধভাবে বিদেশে পাঠিয়ে মুদ্রা পাচার করেছে বলে সন্দেহ কাস্টমস কর্মকর্তাদের। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানায় কাস্টমস।